নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর গ্রামে রজমজানের প্রথম সাপ্তাহে ৫ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ মাসে ১৪ বাড়ীতে ডাকাতি হয়েছে। হঠাৎ এলকায় ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। গত ১০ জুন মুছাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ স্যার এর বাড়ীতে ডাতাকির ঘটনা ঘটেছে। নগদ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার নিয়ে গেছে ডাকাতরা্।
এর আগের দিন আহসান মিয়ার নতুন বাড়ী এবং ১২ জুন ৪ নং ওয়ার্ডের কবির নাহার মঞ্জিলেও ডাকাতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে মুছাপুরের ৪ নং ওয়ার্ড এর আরো দুই বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়ও গত দুই
মুছাপুরের বাসিন্দা শরীফ হোসেন জানান, গত ৩ মাসে অনন্ত ১৪ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ীও ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।
জসিম উদ্দিন দাবী করে, পুলিশের নিক্রিয় ভুমিকার কারণেই ডাকাতি বেড়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ স্যারের বাড়ীতে ডাকাতি হওয়ার পুলিশ এখন সক্রিয় হয়েছে।
বৃষ্টির রাতেই ডাকাতীর ঘটনা বেশী ঘটছে বলে জানাগেছে। এজন্য বৃষ্টি শুরু হলেই এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক নেমে আসে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা থানায় অভিযোগ করতেও ভয় পাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, থানায় কোন প্রকার মামলা দায়ের করলে উল্টো হয়রানীর শিকার হতে হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ফজলে রাব্বি জানান, কোন প্রকার ডাকাতির অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কোম্পানীগঞ্জে গণহারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ে উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান একরাম মিয়ার বাড়ীতেও ডাকাতীর ঘটনা ঘটে। আইন শৃংখলা বাহিনী ডাকাতী নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে ২৭ জুলাই বিক্ষুব্দ জনতার গণপিটুনীতে ৬ ডাকাতকে নিহত হয়। এ সময় মিলন নামে এক নিরীহ ছেলে ডাকাত সন্দেহে পুলিশের সহযোগীতায় গণ পিটুনীতে নিহত হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনার ঝড় উঠে।