নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূ শাহনাজ আক্তারের (২০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামীর বিরুদ্ধে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার সকালে উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধুর ভাই মো. নবীর উদ্দিন জানান, ৭ বছর পূর্বে হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তার আহম্মেদের কন্যা শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মো. সুমনের (৩২) সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ মাস পূর্বে সুমন শাহনাজের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু শাহনাজের পরিবার সুমনের চাহিদা মোতাবেক টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় সুমন ও তার পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকদিন ধরে শাহনাজকে মারধর করে আসছিল। কিন্তু এতেও সে ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় শাহনাজকে মারধর করে গলাটিপে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখে। শনিবার সকালে পুলিশ শাহনাজের পরিবারে তথ্য মতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুমনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. নবীর উদ্দিন বাদী হয়ে সুমন, তার মা মনোয়ারা বেগম, বোন রেজিয়া আক্তার ও রেজিয়ার স্বামী মো. মাসুমকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বি জানান, অভিযোগ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের স্বামী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।