নিজস্ব প্রতিবেদক: আমেরিকায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসীদের সংগঠন ‘কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’র নির্বাচন-২০১৬ এর ফলাফলে মালেক-সবুজ পরিষদ জয়লাভ করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের পিএস ১৭৯, ২০২ এভিনিউ সি, ব্রুকলিনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে মালেক-সবুজ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবদুল মালেক (ভিপি মালেক) ৮১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরজু-সবুজ পরিষদের আরজু হাজারী পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট।
প্রথম সহ-সভাপতি পদে মালেক-সবুজ পরিষদের আবদুল আলিম জিহাদী ৮৫০ ও দ্বিতীয় সহ-সভাপতি পদে একই প্যানেলের জাকির হোসেন ৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে আরজু-সবুজ পরিষদের প্রার্থী মোহাম্মদ ইউছুপ পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ৬৮১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোশারফ হোসেন সবুজ ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাষ্টার আবদুল করিম সবুজ পেয়েছেন ৫৫৯ ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে চৌধুরী মামুন ৮৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ আরীফ হোসাইন পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ ফিরোজ আলম কাজল, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ সালা উদ্দিন রাসেল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে নুর আবসার স্বপন, দপ্তর সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম বাবু, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে আলমগীর হোসেন, মোতাচ্ছেম বিল্লাহ সিরাজী ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
নব নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মালেক খান বলেন, ভোটাররা যোগ্যতা যাচাই করে সঠিক রায় দিয়েছেন। এজন্য আমরা ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন আশীষ রঞ্জন ভৌমিক। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম ছিদ্দিক (মুন্না), শেখ হুমায়ুন কবির ছুট্টি, মোহসিনুর রহমান খাঁন সবুজ ও জয়নাল আবেদীন মাহমুদ।
এদিকে আরজু-করিম পরিষদের পরিষদের সমন্বয়কারী নুরুল হুদা হারুন অভিযোগ করেন, আউট স্টেইটের ভোট নিয়ে অনিয়ম হয়েছে। বেশ কয়েকজন নিউইয়র্কের ভোটারের অজান্তে নাম ঠিকানা বাহিরের স্টেইটে পরিবর্তন করে ভোট নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু নাসের, কামরুন নাহার, আবু তাহের ও অজয় মজুমদার নিউইয়র্কে ভোট দিতে চাইলেও ভোট দিতে পারনেনি। এছাড়াও আউট স্টেইটের ভোট বাক্স খোলার সময়ও প্রার্থীদের ডাকা হয়নি। ভোট বাক্সও অরক্ষিত ছিলো। আমারদের পক্ষ থেকে বার বার ৩ টি সিকিউরিটি লকের দাবী করা হলেও মাত্র একটি লক দেয়া হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোট কেন্দ্রে দুইজন নির্বাচন কমিশনার রহস্যজনক আচরণ করেছেন। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনার নুর আলম সিদ্দিক মুন্না মহিলা ভোটারদেরকে সহযোগীতার কথা বলে উপরের সারিতে ভোট দেয়ার জন্য প্রভাবিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনার মহসিনুর রহমান সবুজও কেন্দ্রে বয়স্ক ও মহিলা ভোটারদের সহযোগীতার নামে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এনিয়ে আমরা দুইবার অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।
পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আরজু হাজারী বলেন, আমরা নিরপেক্ষ ব্যক্তি দিয়ে ভোটারদের মতামত যাচাই করে দেখেছি, আমাদের প্রতি ভোটারদের সমর্থন ছিলো। কিন্তু নির্বাচনে অনিয়মের মাধ্যমে আমাদেরকে হারানো হয়েছে। আমরা বাহিরের স্টেইটে প্রাপ্ত ভোট সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভোটের হিসাব মিলানো পারছিনা। এমনকি বাফোলো থেকে আসা আমার মেয়ের ব্যালটও আমি খুজে পায়নি। এছাড়াও আমার কয়েকজন ঘনিষ্ট আন্তীয় স্বজনের নিশ্চিত ভোটের ব্যালটের হিসাবও মিলানো যাচ্ছেনা। এই ধরনের আলামত কোনভাবে সুষ্ঠ ভোটের হতে পারেনা।