নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা ভারী বর্ষনে নোয়াখালীর দুই উপজেলায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছ। ২০ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছেন। বেশ কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসা কলেজ পানিতে ডুবে গেছে। এরমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে। এ দুই উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।সেনবাগে ৩৬ টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ছোট ফেনী নদীর তীব্র স্রোতে কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় বুধবারও আরো বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকা সহ প্রায় ১শ” ১১টি গ্রামে বন্যার পানি বেড়ে গেছে।কোম্পানীগঞ্জে কামাল হোসেন নামের একজন ঝড়ে কবলে পড়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ২০ টির মতো ঘর বাড়ী ভেঙ্গেগেছে। এদিকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে পানি উড়েগেছে।
কয়েকদিনে বর্ষনে নোয়াখালীর জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা পানিতে ডুবে গেছে সেনবাগ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত মৎস খামার। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী না পাওয়ায় অনেক মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রত্যেকের ঘরে সংগ্রহে রাখা ধান ও চাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নে গাংচিল ও চরকলমী এলাকায় ১০টি কাঁচা বসত ঘর পড়ে গেছে। এছাড়া চরএলাহী, চরপার্বতী, মুছাপুর. চরফকিরা, চরকাঁকড়া, রামপুর, চরহাজরী ও সিরাজপুর ইউনিয়নে অন্তত পক্ষে ৩৫০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২শতাধিক মৎস্য প্রকল্প ও শত শত পুকুরের মাছ। রান্না ঘরের চুলায় পানি ওঠায় শত শত পরিবার রান্না করতে না পেরে অভুক্ত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে এ সব এলাকার কারো কারো ঘরের চুলোয় আগুন জলেনি। গৃহপালিত গরু ছাগল হাঁস মুরগি নিয়েও বিপাকে পড়েছে মানুষ। এলাকাবাসী ভেলা ও নৌকায় করে যাতায়াত করছে। কয়েকটি গ্রামে যোগাযোগের শাখা সড়ক গুলো ডুবে যাওয়ায় মানুষের দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। এক অবর্ণনীয় অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।