নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়িতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ৩ ভাইকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রোববার বিকালে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলায় নাটেশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কাজীনগর গ্রামের মোখছেদ উল্যাহর ছেলে কামাল (৩৬), হারুন (৩২) ও বাবলু (২৭)। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, ঈদ উপলক্ষে দুপুরে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় বাবলু একটি গোল করলে তা নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় রফিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রফিকের পক্ষের কয়েকজন বাবলুর উপর হামলা করলে তার অপর দুই ভাই কামাল ও হারুন ছুটে যান। ওই সময় রফিক আরও লোকজনসহ ওই তিন ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এসপি আরও জানান, তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
হামলায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র সরববাহের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন ফাতেমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
তবে, ঘটনার পর থেকে খুনের সঙ্গে জড়িতরা আত্মগোপন করেছে।
এ ব্যপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসপি।
অপর দিকে নিহত তিন সহোদরের ছোটভাই মোর্শেদ আলম জানান, খেলায় সামান্য বিরোধ হলেও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রফিকের নেতৃত্বে খালেকের ছেলে রাজুসহ সাদ্দাম, আনোয়ার, শরিফ, আজিম, তাওহিদ, বেলাল তার ভাই বাবলুকে প্রথমে কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি বলেন, পরে তার বড় ভাই হারুন ও কামাল পালিয়ে বাড়ির দুটি ঘরে আশ্রয় নিলে তারা ঘরে ঢুকে সেখান থেকে বের করে এনে প্রকাশ্যে মাঠে কুপিয়ে হত্যা করে। তারা তাকে খোঁজ করলেও তিনি পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
নাটেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন স্বপন জানান, নিহতরা স্থানীয়ভাবে মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত এবং এদের নামে থানায় মামলা রয়েছে।
তবে রবিবার দুপুরে খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঘটনাস্থল যেতে পারেননি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন জানান,কামালকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অন্য দুজনকে আনা হয়নি।