নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে মোস্তফা মিয়া (৫০) নামের এক ১০ বছর বয়সী ৩ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। তারা দূরসম্পর্কের দাদা ও নাতনি বলে জানাগেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোস্তফা পলাতক রয়েছে। এদিকে আহত শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে রক্ত দিয়ে সহযোগীতা করেছেন পুলিশের কনস্টেবল নাছির উদ্দিন ও নায়েক ওমর বিজয় চাকমা। তাৎক্ষনিক রক্ত পাওয়ায় শিশুটিকে বাচাঁনো সম্ভব হয়েছে বলে ডাক্তারা জানান।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে গোরাপুর গ্রামের আলী আকবর মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোস্তফা মিয়া ওই বাড়ির মৃত হজু মিয়ার ছেলে।
শিশুটির মা জানান, তাঁর বাড়ির পাশেই চাচাশ্বশুর মো. মোস্তফার বাড়ি। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মেয়ে বাসা থেকে বের হয়। তখন মোস্তফা তাঁর মেয়েকে কথা আছে বলে বাড়ির পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন মোস্তফা। এ সময় মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে মোস্তফা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । মেয়েকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকেরা জরুরি ভিত্তিতে দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে বলেন। কিন্তু অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে রক্ত জোগাড় করা যায়নি। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত এক গণমাধ্যমকর্মী জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ সদস্য নাছির ও ওমর শিশুটিকে রক্ত দেন।
রক্তদাতা পুলিশ কনস্টেবল নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রক্ত দিতে পেরে ভালো লাগছে। আমি জীবনে কখনো কল্পনাও করিনি, এভাবে কারও জীবন বাঁচানোর জন্য রক্ত দিতে পারব।’
অপর পুলিশ সদস্য নায়েক ওমর বিজয় চাকমা বলেন, ‘শিশুটিকে রক্ত দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। তবে শিশুটির সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। আস্তে আস্তে সে সুস্থ হয়ে ওঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মোস্তফাকে আটকের চেষ্টা চলছে।